১) (দৈনিক ইনকিলাব)
২১-০৫-২০২৫
শাহসূফী আল্লামা মুহাম্মদ কুতুব উদ্দীন (রহ.) এর ৫ম ইন্তেকাল বার্ষিকী আজ।
তুমি বলে দাও, ‘আল্লাহর ইচ্ছা ব্যতীত আমি তো আমার নিজের জন্য কোন অপকার ও উপকারের মালিক নই।’ প্রত্যেক উম্মতের জন্য একটি নির্দিষ্ট সময়-সীমা আছে; যখন তাদের সেই নির্দিষ্ট সময় এসে পৌঁছে যাবে, তখন তারা মুহূর্তকাল না বিলম্ব করতে পারবে, আর না ত্বরা করতে পারবে। -কুরআন (সূরা ইউনুস: ৪৯)
এ উপলক্ষে কক্সবাজার বায়তুশ শরফ এবং চট্টগ্রাম বায়তুশ শরফসহ সারাদেশে বায়তুশ এর প্রতিষ্ঠানগুলোতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে- খতমে কুরআন, দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা।
এছাড়াও ‘আল্লামা শাহ কুতুব উদ্দিন রহ. ফাউন্ডেশন লোহাগাড়া আধুনগরে আয়োজন করেছে ইছালে ছওয়াব ও হুজুরের কর্মময় জীবনের উপর আলোচনা সভা।
এতে বায়তুশ শরফের বর্তমান পীর সাহেব মাওলানা শাইখ আবদুল হাই নদভী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী আল্লামা কুতুব উদ্দীন (রহ.) ছিলেন, কামিলে (হাদিস) স্বর্ণপদকসহ ১ম শ্রেণিতে ১ম স্থান অর্জনকারী। এই মহান আলিম একাধারে পরম শ্রদ্ধেয় পীর, খ্যাতিমান মুফাস্স্সির, শাইখুল হাদিস, আরবি ভাষাবিদ, স্বভাব কবি ও জনপ্রিয় ওয়ায়েজ হিসাবে সর্ব মহলে ছিলেন পরিচিত।
আল্লামা কুতুব উদ্দীন (রহ.) ১৯৩৮ সালে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া থানাধীন আধুনগরস্থ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা সূফি মিয়াজীপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মাওলানা মুসলেহ উদ্দীন ছিলেন লোহাগাড়ার চুনতি হাকিমিয়া আলিয়া মাদরাসার শিক্ষক।
কর্মজীবনে তিনি ১৯৬০-১৯৭০ সাল পর্যন্ত সাতকানিয়া থানাধীন রসূলাবাদ মাদরাসার সুপারিন্টেন্ডেন্ট পদে এবং ১৯৮৭-২০০৩ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রামের বায়তুশ শরফ আদর্শ কামিল মাদরাসায় মুহাদ্দিস, উপাধ্যক্ষ ও অধ্যক্ষ পদে কর্মরত ছিলেন। তিনি বায়তুশ শরফ মাদরাসায় প্রধানত বুখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফের পাঠদান করতেন। হাদিস শাস্ত্রে তাঁর ছিল অপরিসীম। জ্ঞান, মুখস্থ শক্তি ও অসাধারণ পাঠদান ক্ষমতায় মুগ্ধ হয়ে ক্লাসের ছাত্র ছাড়াও দূর দূরান্ত থেকে অনেক ছাত্র-শিক্ষক তাঁর পাঠ গ্রহণ করতে ছুটে আসতেন। তিনি ১৯৯৩ সালে জাতীয় সেরা অধ্যক্ষের পুরষ্কার লাভ করেন।
তিনি ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক এর শরীয়া সুপারভাইজারী কমিটির চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।
আল্লামা মুহাম্মদ কুতুব উদ্দীন (রাহ.) কুরআন হাদিস ও ফিকহ শাস্ত্রে বিশেষজ্ঞ শিক্ষক হিসাবে পরিচিত। তিনি উর্দু, ফার্সী ও আরবী ভাষার পণ্ডিত হিসাবে সর্বজন স্বীকৃত।
এ মহান যুগশ্রেষ্ঠ আল্লাহর অলি লক্ষ লক্ষ ভক্ত-মুরিদানকে শোক সাগরে ভাসিয়ে ২০ মে, ২০২০ইং বুধবার (২৬ রমজান শবেকদরের দিন) বার্ধক্যজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ৮২ বৎসর বয়সে ইন্তিকাল করেন। পরদিন ২১ মে বৃহস্পতিবার বাদে ফজর চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় বায়তুশ শরফ মসজিদ প্রাঙ্গণে তার জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জানাযার ইমামতী করেন তাঁরই একমাত্র ছেলে মাওলানা ছলাহ উদ্দিন বেলাল। হুজুরকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় বায়তুশ শরফ মসজিদের দক্ষিণ পাশে পীর-মুর্শিদ মরহুম হযরত মাওলানা মোহাম্মদ আবদুল জব্বার (রাহ.) এর পাশে সমাহিত করা হয়। #
০২) দৈনিক ইত্তেফাক
২১-৫-২০২০
চট্টগ্রাম বায়তুশ শরফের পীর বাহরুল উলুম মাওলানা কুতুব উদ্দীনের ইন্তেকাল
চট্টগ্রাম বায়তুশ শরফ দরবার শরিফের পির মাওলানা কুতুব উদ্দীন ইন্তেকালে করেছেন। তিনি গতকাল বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টায় ঢাকার আনোয়ার খান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিত্সাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহি… রাজিউন)।
দীর্ঘ দিন ধরে ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপে ভুগছিলেন। গত সোমবার তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার রাতে তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়।
বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী হওয়ার কারণে তিনি ধর্মীয় মহলে বাহরুল উলুম (জ্ঞানের সাগর) নামেও পরিচিত ছিলেন। মাওলানা কুতুব উদ্দীন চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার আধুনগর ইউনিয়নের সুফি মিয়াজীপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। লেখাপড়া করেছেন চুনতী হাকিমিয়া আলিয়া মাদ্রাসা ও চট্টগ্রাম শহরের দারুল উলুম আলিয়া মাদ্রাসায়। তিনি ১৯৫৯ সালে স্বর্ণপদকসহ প্রথম বিভাগে প্রথম স্থান অর্জন করে কামিল পাশ করেন।
হাদিস বিশারদ ও কুরআনের তাফসিরকারক মাওলানা কুতুব উদ্দীন আরবি, ফার্সি ও উর্দু ভাষাবিদ হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতিমান ছিলেন। কর্মজীবনে তিনি বায়তুশ শরফ আদর্শ কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে দেশের সেরা অধ্যক্ষের পুরস্কারও অর্জন করেন।
তিনি চট্টগ্রাম মহানগরীর ডবলমুরিং থানা এলাকার ধনিয়ালা পাড়ায় অবস্থিত বায়তুশ শরফের প্রতিষ্ঠাতা প্রখ্যাত সুফিসাধক মাওলানা মীর মুহাম্মদ আখতার (রহ.) এবং বায়তুশ শরফের প্রধান রূপকার শাহ সুফি মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল জব্বার (রহ.) এর সান্নিধ্যে অবস্থান করে আধ্যাত্মিক সাধনায় নিমগ্ন হন। ১৯৯৮ সাল থেকে আমৃত্যু তিনি বায়তুশ শরফের পীর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার লেখা একাধিক বিখ্যাত ধর্মীয় গ্রন্থও রয়েছে।
০৩) রাইজিংবিডি.কম
২০-০৫-২০২০
চট্টগ্রামের পীর মাওলানা কুতুব উদ্দিন আর নেই
চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বায়তুশ শরফ দরবার শরীফের পীর সাহেব বাহারুল উলুম আলহাজ্ব হযরত মাওলানা মুহাম্মদ কুতুব উদ্দিন ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রজিউন) ।
আজ বুধবার বিকেল ৫টার দিকে ঢাকার আনোয়ার খান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন।
মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৮৩ বছর। তিনি উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়বেটিসসহ বার্ধক্যজণিত নানা রোগে ভুগছিলেন। তার লাশ দাফনের জন্য চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হচ্ছে। পীরের স্বজন প্রকৌশলী মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী হওয়ার কারণে তিনি ধর্মীয় মহলে বাহরুল উলুম (জ্ঞানের সাগর) নামেও পরিচিত। মাওলানা কুতুব উদ্দীন চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার আধুনগর ইউনিয়নের সূফী মিয়াজী পাড়া গ্রামের সন্তান। লেখাপড়া করেছেন চুনতী হাকিমিয়া আলিয়া মাদ্রাসা ও চট্টগ্রাম শহরের দারুল উলুম আলিয়া মাদ্রাসায়। তিনি ১৯৫৯ সালে স্বর্ণপদকসহ প্রথম বিভাগে প্রথম স্থান অর্জন করে কামিল পাস করেন।
হাদিস বিশারদ ও কুরআনের তাফসিরকারক মাওলানা কুতুব উদ্দীন আরবি, ফার্সি ও উর্দু ভাষাবিদ হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতিমান। কর্মজীবনে তিনি বায়তুশ শরফ আদর্শ কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে দেশের সেরা অধ্যক্ষের পুরস্কারও অর্জন করেন।
তিনি চট্টগ্রাম নগরীর ডবলমুরিং থানা এলাকার ধনিয়ালা পাড়ায় অবস্থিত বায়তুশ শরফের প্রতিষ্ঠাতা প্রখ্যাত সূফীসাধক মাওলানা মীর মুহাম্মদ আখতার (রহ) এবং বায়তুশ শরফের প্রধান রূপকার শাহ সূফী মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল জব্বার (রহ) এর সান্নিধ্যে অবস্থান করে আধ্যাত্মিক সাধনায় নিমগ্ন হন। ১৯৯৮ সাল থেকে আমৃত্যু তিনি বায়তুশ শরফের পীর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর লেখা একাধিক বিখ্যাত ধর্মীয় গ্রন্থও রয়েছে।
০৪)
বায়তুশ শরফের পীর আব্দুল জব্বারের পাশেই শায়িত হলেন মাওলানা কুতুব উদ্দিন
অনলাইন ডেস্ক
২১ মে, ২০২০ | ২:২২ অপরাহ্ণ
চট্টগ্রাম নগরীর ধনিয়ালপাড়ায় বায়তুশ শরফের পীর বাহরুল উলুম আলহাজ্ব হযরত মাওলানা মুহাম্মদ কুতুব উদ্দিন সাহেব এর জানাজার নামাজ চট্টগ্রাম পুলিশ প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী আজ বৃহস্পতিবার (২১ মে) ফজরের নামাজের পর কেন্দ্রীয় বায়তুশ শরফ মসজিদে সীমিত পরিসরে অনুষ্ঠিত হয়।
আজ বৃহস্পতিবার (২১ মে) বাদ জোহর জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও জনসমাগম এড়াতে নির্ধারিত সময়ের আগেই ফজরের নামাজের পর ভোর সাড়ে ৫টার দিকে জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় ইমামতি করেন আলহাজ্ব মাওলানা মুহাম্মদ ছলাহ উদ্দিন বেলাল সাহেব। জানাজার পরপরই মরহুমকে বায়তুশ শরফ মসজিদ সংলগ্ন হাদীয়ে যামান আল্লামা শাহ সূফী হযরত মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল জব্বার রাহ. এর কবরের পাশে দাফন সম্পন্ন করা হয়। জানাজায় মাওলানা কুতুবউদ্দিনের স্বজনরা ছাড়াও বায়তুশ শরফ মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। উল্লেখ্য, বুধবার দুপুরে ঢাকার আনোয়ার খান মডার্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।পূর্বকোণ/ এএ
০৫)
মাওলানা কুতুবউদ্দিন (রহেমাহুল্লাহ) এর ইন্তেকালে ছাত্রশিবিরের শোক প্রকাশ
- ছাত্রশিবির
- ২৩ আগস্ট ২০২০
বায়তুশ শরফের পীর মাওলানা কুতুবউদ্দিন (রহেমাহুল্লাহ) ও বাইতুশ শরফ দরবার মসজিদের খতিব মাওলানা নুরুল ইসলাম (রহেমাহুল্লাহ) এর ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।
এক যৌথ শোকবার্তায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মোঃ সিরাজুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল সালাহউদ্দিন আইউবী বলেন, বায়তুশ শরফের পীর মাওলানা কুতুবউদ্দিন গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিঊন)।
তাঁর ইন্তেকালে জাতি একজন বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন ও উজ্জ্বল নক্ষত্রকে হারালো। তিনি চট্টগ্রামসহ সারা বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসার পাত্র ছিলেন। একদিকে যেমন তিনি অর্থনীতিবিদ হিসেবে কৃতিত্বের সাথে ইসলামী ব্যাংকের শরিয়াহ বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন। তেমনি তিনি ছিলেন চুনতি হাকিমিয়া কামিল মাদরাসার প্রধান পৃষ্ঠপোষক।
সমাজ থেকে শির্ক-বিদয়াতসহ ইসলামবিরোধী কর্মকান্ড দূর করতে তিনি আমৃত্যু প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছিলেন। বিখ্যাত চুনতি হাকিমিয়া কামিল মাদরাসায় দায়িত্ব পালনসহ বিভিন্নভাবে ইসলামী শিক্ষার প্রসারে আপ্রাণ প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। দেশে ইসলামী অর্থব্যবস্থার প্রসারেও তিনি অসামান্য অবদান রেখেছেন। ইসলামের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অনেক গ্রন্থ রচনা করেছেন এ আলেমে দ্বীন। ওয়াজ-মাহফিলের মাধ্যমে দেশ-বিদেশে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দিতে তাঁর ভূমিকা ছিল অগ্রগণ্য। একইসাথে তিনি দেশে ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলনের প্রসার, আলেম সমাজকে ঐক্যবদ্ধকরণ ও ইসলামবিরোধী সকল কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন।
অসহায় দুস্থ মানুষের জন্য তাঁর দানশীলতা ও বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর প্রচেষ্টা অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তিনি বিনয়ী, আকর্ষণীয় চরিত্রের অধিকারী ও সর্বজন শ্রদ্ধেয় ছিলেন। দেশ ও জনগণের জন্য তাঁর গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা আলেম সমাজ ও জাতি চিরকাল মনে রাখবে, ইনশাআল্লাহ।
অন্যদিকে একই দিনে ইন্তেকাল করেছেন বাইতুশ শরফ দরবার মসজিদের খতিব মাওলানা নুরুল ইসলাম (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিঊন)। তিনি দ্বীনের দায়ী হিসেবে ইসলামের পথে আহবানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তাঁর জ্ঞানের বিশালতা ও পান্ডিত্ব সর্বমহলে স্বীকৃত। জীবনের শেষ পর্যন্ত তিনি দ্বীনের খেদমতে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছিলেন। ইসলামের পক্ষে এবং ইসলামবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে তাঁর কণ্ঠ ছিল সব সময় উঁচু।
দেশের এই সংকটকালে তাঁদের মত প্রবীণ আলেমে দ্বীনদের ইন্তেকালে দেশবাসী শোকাহত। আমরা মরহুমদের মাগফিরাতের জন্য আল্লাহর নিকট দোয়া করছি এবং তাঁদের শোক-সন্তপ্ত পরিবার-পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। আল্লাহ তায়ালা তাঁদের জান্নাতুল ফেরদৌসের মেহমান হিসেবে কবুল করুন।
০৬)
করোনায় মারা গেলেন বায়তুশ শরফের পীর মাওলানা কুতুবউদ্দিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমআপডেট: ২৩:৩৭, মে ২০, ২০২০ মাওলানা মোহাম্মদ কুতুবউদ্দিন চট্টগ্রাম: করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রাম বায়তুশ শরফের পীর মাওলানা মোহাম্মদ কুতুবউদ্দিন ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।
বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বী।
বুধবার (২০ মে) দুপুরে ঢাকার আনোয়ার খান মডার্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে তার মৃত্যু হয় বলে বাংলানিউজকে জানান মাওলানা কুতুবউদ্দিনের ভাগিনা আবু জাহেদ মোহাম্মদ সাদেক।
তবে তার মামা মাওলানা মোহাম্মদ কুতুবউদ্দিন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কী না সেই রিপোর্ট তারা এখনও হাতে পাননি বলে জানান তিনি।
সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বী বাংলানিউজকে বলেন, অসুস্থ অবস্থায় মাওলানা মোহাম্মদ কুতুবউদ্দিনকে মঙ্গলবার ভোরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
বুধবার (২০ মে) চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় তার করোনা পজেটিভ আসে। আমরা বিষয়টি পুলিশের বিশেষ শাখাকে জানিয়েছি।
মাওলানা মোহাম্মদ কুতুবউদ্দিনের অসুস্থতা বেড়ে গেলে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতাল থেকে আইসিউ এম্বুলেন্সে করে মঙ্গলবার রাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা আনোয়ার খান মডার্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি করানো হয়। বুধবার দুপুরে সেখানে মারা যান তিনি।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (সিটি এসবি) মো. আবদুল ওয়ারিশ বাংলানিউজকে বলেন, সিভিল সার্জন অফিস থেকে আমাদের জানানো হয়েছে বাইতুশ শরফের পীর মাওলানা কুতুবউদ্দিনের নমুনা পরীক্ষায় করোনা পজেটিভ এসেছে।
আমরা বিষয়টি নিয়ে তার স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেছি। জানাজায় লোক সমাগম কম করার জন্য অনুরোধ করেছি। তারা আমাদের সহযোগিতা করবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন।
মো. আবদুল ওয়ারিশ বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরের নামাজের পর জানাজা হবে বলে জানানো হয়েছে। প্রটোকল ও প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে জানাজা আয়োজনের জন্য ব্যবস্থা নিচ্ছি আমরা।
বায়তুশ শরফের পীর মাওলানা মোহাম্মদ কুতুবউদ্দিনের মৃত্যুর খবরে চট্টগ্রামসহ সারাদেশে ভক্তকূলের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩২৫ ঘণ্টা, মে ২০, ২০২০
০৭)
বায়তুশ শরফের পীর আল্লামা কুতুব উদ্দিন আর নেই
দেশের প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন, বায়তুশ শরফের সম্মানিত পীর ছাহেব, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিঃ এর শরিয়া কাউন্সিলের চেয়ারম্যান,বাহারুল উলুম আল্লামা শাহ কুতুব উদ্দিন (৮১) ইন্তেকাল করেন (ইন্না-লিল্লাহি ওইন্নাইলাইহি রাজিউন)
বুধবার (২০ মে) বিকাল ৫টায় বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি ইন্তেকাল করেছেন।
গত কয়েকদিন আগে তাঁকে ঢাকার ধানমন্ডি আনোয়ার খাঁন মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। আজ বিকেল ৪ টায় তিনি সেখানে ইন্তেকাল করেছেন।
কক্সবাজার বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্সের মহাপরিচালক আলহাজ্ব সিরাজুল ইসলাম এই সংবাদ নিশ্চিত করেছেন।
#পার্বত্য নিউজ
(বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ২৭ ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ)
০৮)
বায়তুশ শরফের পীর মারা গেছেন
১২:২৯, ২০ মে ২০২০

চট্টগ্রাম বায়তৃশ শরফের পীর সাহেব বাহারুল উলূম হযরত মাওলানা কুতুব উদ্দিন (ম.জি.আ.) বার্ধক্যজনিত কারণে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্নাইলাইহি রাজিওন)। বুধবার (২০ মে) বিকেল ৫টায় রাজধানী ঢাকার আনোয়ার খান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
মৃত্যু কালে তাঁর বয়স হয়েছিল প্রায় ৮০ বৎসর। মাওলানা কতুব উদ্দিন ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন।
তিনি লোহাগাড়া উপজেলার আধুনগর সুফি মিয়া পাড়া এলাকার মৃত মুসলিহ উদ্দিনের ছেলে।
হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতালের আইসিউতে ভর্তি হন তিনি। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকার ধানমণ্ডির আনোয়ার খান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
এদিকে মাওলানা কুতুব উদ্দিনের লাশ এখনো ঢাকায় রাখা হয়েছে। রাতের মধ্যে চট্টগ্রামের দেওয়ানহাটের বাইতুশ শরফ মাদ্রাসায় আনা হবে। সেখানে জানাজার নামাজ পড়ানো হবে। তবে এখনো পর্যন্ত জানাজার নামাজের সময় নির্ধারিত হয়নি।
০৯)
একই দিন চলে গেলেন বায়তুশ শরফ দরবারের পীর ও খতিব
প্রকাশিত: ২১ মে, ২০২০ ০৪:২১:৫৬
মাত্র ৫ ঘণ্টার ব্যবধানে পৃথিবী থেকে বিদায় নিলেন চট্টগ্রাম বায়তুশ শরফ দরবার শরীফের পীর বাহরুল উলুম মাওলানা কুতুব উদ্দীন ও দরবারের কেন্দ্রীয় মসজিদের খতীব আলহাজ্ব মাওলানা নুরুল ইসলাম (প্রকাশ নাজেম সাহেব হুজুর)।
বুধবার (২০ মে) বিকেল সাড়ে ৪ টায় ঢাকায় আনোয়ার খান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান পীর সাহেব। এর আগে দুপুর ১২ টার দিকে চট্টগ্রামে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান খতীব।
বিষয়টি নিশ্চিত তার নিকট আত্মীয় প্রকৌশলী মো. নাছির উদ্দিন বলেন, ‘বুধবার বিকেল ৪টার পর থেকে হুজুরের হার্টবিট পাচ্ছিলেন না চিকিৎসকরা। বিকেল সাড়ে ৫ টায় আমরা হুজুরের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হই।’
মাওলানা কুতুব উদ্দীন চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার আধুনগর ইউনিয়নের সূফী মিয়াজী পাড়া গ্রামের সন্তান। লেখাপড়া করেছেন চুনতী হাকিমিয়া আলিয়া মাদ্রাসা ও চট্টগ্রাম শহরের দারুল উলুম আলিয়া মাদ্রাসায়। তিনি ১৯৫৯ সালে স্বর্ণপদক সহ প্রথম বিভাগে প্রথম স্থান অর্জন করে কামিল পাস করেন।
হাদিস বিশারদ ও কুরআনের তাফসিরকারক মাওলানা কুতুব উদ্দীন আরবি, ফার্সি ও উর্দু ভাষাবিদ হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতিমান। কর্মজীবনে তিনি বায়তুশ শরফ আদর্শ কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে দেশের সেরা অধ্যক্ষের পুরস্কারও অর্জন করেন।
তিনি চট্টগ্রাম নগরীর ডবলমুরিং থানা এলাকার ধনিয়ালা পাড়ায় অবস্থিত বায়তুশ শরফের প্রতিষ্ঠাতা প্রখ্যাত সূফীসাধক মাওলানা মীর মুহাম্মদ আখতার (রহ) এবং বায়তুশ শরফের প্রধান রূপকার শাহ সূফী মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল জব্বার (রহ) এর সান্নিধ্যে অবস্থান করে আধ্যাত্মিক সাধনায় নিমগ্ন হন। ১৯৯৮ সাল থেকে আমৃত্যু তিনি বায়তুশ শরফের পীর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর লিখা একাধিক বিখ্যাত ধর্মীয় গ্রন্থও রয়েছে।
অন্যদিকে খতীব মাওলানা নুরুল ইসলামের বাড়ী চট্টগ্রামের লোহাগাড়া থানাধীন বড় হাতিয়া আখতরাবাদ কুমিরাঘোনা এলাকায়। মৃত্যুকালে তিনি দুই ছেলে ও মেয়ে পাচঁ মেয়ে রেখে গেছেন।
তিনি বায়তুশ শরফ আঞ্জুমানে ইত্তেহাদ বাংলাদেশ এর সহ-সভাপতি ছিলেন। তিনি বায়তুশ শরফ দরবারের মরহুম পীর সাহেব কেবলা, আধ্যাত্বিক জগতের উজ্জ্বল নক্ষত্র, শাহসুফী আল্লামা শাহ আবদুল জব্বার (রাহ) এর জৈষ্ঠ্য মেয়ের জামাতা। হুজুরের পুরো জীবনটাই বায়তুশ শরফ দরবারের জন্য উৎসর্গ করে গেছেন৷ আমৃত্যু তিনি বায়তুশ শরফ দরবারের খেদমতে নিয়োজিত ছিলেন। সুললিত কণ্ঠে মিলাদ শরীফ, জিকির, কাসিদায়ে গাউসিয়া শরীফ পরিচালনা করতেন।
তিনি সাতকানিয়ার চুনতি হাকিমিয়া আলিয়া মাদরাসা থেকে দাখিল, আলিম ও ফাজিল এবং চট্টগ্রাম ওয়াজেদিয়া কামিল মাদরাসা থেকে কামিল পাশ করেন।
প্রজন্ম নিউজ/ নুর
Leave a Reply