বায়তুশ শরফের পীর বাহরুল উলুম শাহ্ সূফী হযরত মাওলানা মোহাম্মদ কুতুব উদ্দিন (রহ.)-অমর বাণী :
১) ইলম এমন এক বস্তু একে যখন হৃদয়ে স্থাপন করা হয় তখন তা অন্তরঙ্গ বন্ধু হয়। আর যখন দেহের উপর প্রয়োগ করা হয় তখন এটি সর্প হয়।
ঐটিই প্রত্যাশিত ইলম যা তোমাকে আল্লাহর রাস্তা প্রদর্শন করে এবং অন্তর হতে গোমরাহীর মরিচা দূর করে দেয়।
২) ত্বরীকত অবলম্বনের মাধ্যমে কামেল পীর মুর্শিদের ছোহবতে বিনয়, নম্রতা-ভদ্রতা অর্জন তথা নিজের আমিত্বকে বিলীন করে দিতে পারলে, আল্লাহর মুহাব্বত,দয়া-অনুকম্পা ও সান্নিধ্য লাভকরা যায়।
৩) অন্তরে রাসূল (সা.)-এর মুহাব্বত থাকা ঈমানদারের আলামত। প্রিয় রাসূল (সা.)-এর সাথে অন্তরের সম্পর্ক লাভের মাধ্যমে আল্লাহকে পাওয়া যায়। নিয়মিত ত্বরীকতের অজিফা আদায় করলে অন্তরে আল্লাহ্ ও রাসূল (সা.)-এর মুহাব্বত এবং শেখের (নিজ পীরের) মুহাব্বত বৃদ্ধি পায়।
৪) তাসাউফের উৎস হচ্ছে পবিত্র কুরআন শরীফ ও হাদিস শরীফ। তাসাউফ বা তরীকত হচ্ছে মনের কালিমা, কূটিলতা, লোভ-লালসা, হিংসা-বিদ্বেষ, পরশ্রীকাতরতা, কাম, ক্রোধ, মোহ প্রভৃতি কুস্বভাব দূর করে ছাফায়ে কলব ও তাযকীয়ায়ে নফসের মাধ্যমে পরম করুণাময় আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তাআলার প্রেম ও সান্নিধ্য লাভের জ্ঞান ও পথ।
৫) শুধু নামায কালাম পড়লেই হবে না। আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশী এবং ত্বরীকতের ভাই বোনদের সুখ-দুঃখের খবর রাখতে হবে। হক্কুল্লাহর সাথে হক্কুল ইবাদ এর প্রতি সজাগ থাকতে হবে।
Leave a Reply